সময় ডেস্ক:: স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে বিশ্বব্যাপী সুনাম কুড়াবে। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। তা আর পুরণ হলো না ইসরা তাসকিন অস্মিতা’র (১৩)। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার মৃত্যুবরণ করে সিলেটের বিশ্বনাথের এই কিশোরী। ঢাকার লালমাটিয়া মিলেনিয়াম হাসপাতালে টানা ৯ দিন লাইফসাপোর্টে থাকার পর গতকাল বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭.০০ ঘটিকার দিকে সে মারা যায়। এরপর ওই দিন বাদ এশা সিলেটের হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরিফ দরগাহ মসজিদে নামাজের জানাযা শেষে সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। ঢাকার ভিকারুননেছা নুন স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীর ছিলো অস্মিতা। চলতি বছরেই সে আজিমপুরের ভিকারুননেছা স্কুলে ভর্তি হয়। অস্মিতা সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কামালপুর গ্রামের কবি হেনা নুরজাহান ও প্রকৌশলী আমানত মাওলা টিপুর বড় মেয়ে। তার বাবা বাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেডের এমআইএস এন্ড আইসিটির ব্যবস্থাপক ও প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। দাফনকালে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) দরগা প্রাঙ্গণেই ছিলেন অস্মিতার মা হেনা নুরজাহান ও বাবা প্রকৌশলী আমানত মাওলা টিপু। এসময় বারংবার মুর্চা যাচ্ছিলেন মা নুরজাহান। কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা বলেন, ধানমন্ডির ‘ল্যাব এইড’ হাসপাতালের চিকিৎসা অবহেলার কারণে তাদের মেয়েকে অকালে হারাতে হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ফ্রেবুয়ারি মাসে অস্মিতা মেধাভিত্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় মা-বাবা তাকে ভিকারুননেছা নুন স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেনীতে ভর্তি করেন। অস্মিতার লেখাপড়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের বাসা ছেড়ে ঢাকার আজিমপুরে বসবাস শুরু করেন মা। গেল ঈদুল আজহায় পরিবারের সকল সদস্য ঢাকার বাসায় অবস্থান করেন। এরপর ১৮ আগষ্ট থেকে মা-বাবা ২ জনসহ অস্মিতা ও ৬ বছর বয়সী ছোট মেয়ে তাকিয়া তাসকিন সারিনাসহ পরিবারের ৪জনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। তারপর গত ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার অস্মিতাকে ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ৫দিন ওই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজী মোহাম্মদ কামরুল হাসানের অধীনে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ২৬ আগষ্ট মিলেনিয়াম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে লাইফসাপোর্টে রাখার পর ৯ দিনের মাথায় বুধবার সকালে অস্মিতার মৃত্যু হয়।